Showing posts with label হাদিস. Show all posts
Showing posts with label হাদিস. Show all posts

Wednesday, March 1, 2017

জেনে নিন মেধা শক্তি বৃদ্ধির কিছু আমল ও তার ফযিলত

১। বর্ণিত আছে যদি তুমি চাও যে, তোমার পঠিত একটি অক্ষর ও ভুলবে না, তবে সর্বদা পড়া আরম্ব করার সময় এই দো’য়াটি পড়ে লও। ( ৭বার)
اللهم افتح علينا حكمتك وانشر علينا رحمتك ياذا الجلال والاكرام -

২। যদি তুমি বেশি পরিমানে স্মরণশক্তি লাভ করতে চাও তবে প্রত্যেক ফরজ নামাযের পরে দো’য়াটি পড়ে লও। (১বার)

امنت بالله الواحد الحق لاشريكله وكفرت بماسواه
৩। প্রত্যাহ একশত বার পড়বে, (কেউ কেউ বলেছেন যে, এই দরুদের মধ্যে ইলমে লাদুন্নীর ফয়েজ আছে। ইহা আমল অজানা জিনিস ও অনেক সময় বুঝে আসে।
اللهم صل على سيدنا محمدن النبى الامى واله وسلم 

৪। আয়াত খানা প্রতিদিন ২১ বার পাঠ করবে।
رب اشرح لى صدرى ويسرلى امرى واحلل عقدة من لسانى يفقهو قولى - 

৫। পড়া আরম্ভ করার সময় নিম্ন লিখিত আয়াত খানা তিনবার পাঠ করবে।
سبحنك لا علم لنا الا ما علمتنا انك انت العلميم الحكيم-

জেনে নিন সকাল সন্ধার কিছু আমল ও তার ফযিলত

১। যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিব নামাযের পর সুরা হাসরের শেষ ৩ আয়াত আউযু বিল্লাহীচ্ছামীঈল আলিমি মিনাশ শাইত্বনির রজীম তিন বার পাঠ করে। হাসরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে। তাহার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া ও মাগফিরাত করবে। এবং ঐ দিনে বা রাত্রে ইন্তেকাল করলে শহীদি মৃত্যু নসীব হইবে।

২। যে ব্যক্তি এই আয়াত খানা সাতবার পাঠ করবে, সকাল-সন্ধা আল্লাহ তা’য়ালা তাহার দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় চিন্তা ফিকির দুর করে দিবেন। এবং দুনিয়া ও আখরাতের সমস্ত সমস্যা সমাধান করবেন।
সুরা তাওবার শেষ আয়াত ৭ বার পাঠ করবেন।
حسبى الله لا اله الا هو عليه تو كلت وهو رب العرش العظيم-

৩। যে ব্যক্তি এই দো’য়া চারবার পাঠ করবেন, তাহার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা কঠিন কঠিন চার টা রোগ থেকে মুক্ত করবেন। যেমন- অন্ধ, পাগল, কুষ্ঠ ও পারালাইসিস দো’য়াটি ৪ বার পাঠ করবেন।
سنحن الله العظيم وبحمده ولا حول ولاقوة الابالله

৪। যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিব নামাযের পর কথা-বার্তা না বলে এই দো’য়া সাতবার পাঠ করবে। সে ঐ রাত্র বা দিনে যদি মারা যায়, তবে দোয়খ থেকে নাজাত পাবে। দো’য়াটি ৭ বার পড়বে। اللهم اجرنى من انار হে আল্লাহ আমাকে দোযখের আগুন হইতে রক্ষা কর।

৫। যে ব্যক্তি খানা খাইয়া এই দু’য়া পাঠ করবে তাহার পুর্বাপর সমস্ত গুনাহ মাফ হইয়া যাইবে। এই দু’য়াটি একবার পাঠ করবেন। الحمد لله الذى اطعمنى هذاالطعام ورزقنيه من عير حول منى ولا قوة -

Thursday, November 17, 2016

কবরের আজাব থেকে নিরাপদ থাকার আমল

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে (اَلْقَابِضُ) ‘আল-ক্বাবিদুএকটি। যার অর্থ হলো- ‘বান্দার রিযিক অন্তর সকোচনকারী এবং রূহ কবজকারী।
সংক্ষেপে গুণবাচক নাম (اَلْقَابِضُ) ‘আল-আলিমু’-এর জিকিরের আমল ফজিলত তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : ‘আল-ক্বাবিদু
অর্থ : ‘বান্দার রিযিক অন্তর সকোচনকারী এবং রূহ কবজকারী।

মিতব্যয়িতা মানুষের প্রশংসনীয় গুণ

সম্পদ ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়ার উপকারিতা মোমিনের গুণ বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কৃপণতাও করে না এবং তারা আছে দুইয়ের মধ্যমপন্থায়। কারণেই মিতব্যয় মানুষের সর্বোত্তম গুণ। আর মিতব্যয়িতার মাধ্যমেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলাও অপব্যয়কে বর্জন করে মিতব্যয়ী হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন।
১৯২৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো- ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ জাতির কল্যাণে মিতব্যয়ী হওয়ার প্রতি আত্মসচেতনাবোধ সৃষ্টি করা।

যে আমলে মানুষের প্রয়োজন পূরণ হয়

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে (اَلْبَاسِطُ) ‘আল-বাসিতুএকটি। যার অর্থ হলো- ‘বান্দার রিযিকের মধ্যে প্রশস্তকারী অথবা অন্তরকে প্রশস্তকারী।
সংক্ষেপে গুণবাচক নাম (اَلْبَاسِطُ) ‘আল-বাসিতু’-এর জিকিরের আমল ফজিলত তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : ‘আল-বাসিতু

অভাব মোচনে যে আমল করবেন

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে (اَلرَّافِعُ) ‘আর-রাফিয়ুএকটি। যার অর্থ হলো- ‘মুমিনদের মর্যাদা উঁচুকারী।
সংক্ষেপে গুণবাচক নাম (اَلرَّافِعُ) ‘আর-রাফিয়ু’-এর জিকিরের আমল ফজিলত তুলে ধরা হলো-

Monday, October 24, 2016

বেহেশতী নারীর গুনাবলী সম্পর্কিত ২০টি হাদীসঃ-

বিভিন্ন হাদীসে জান্নাতী বা বেহেশতী নারীর বিভিন্ন গুনাগুন সম্পর্কে বর্ণিত আছে। তন্মধ্যে ২০টি হাদীস নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

[১] হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে মহিলা (১) পাচঁ ওয়াক্ত নামায (নিয়মমত) আদায় করবে, (২) রমযানের রোযা (ঠিকমত) রাখবে, (৩) লজ্জাস্থান হেফাযত করবে এবং (৪) স্বামীকে মান্য করবে, তাকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, যে দরজা দিয়ে মন চায় সে দরজা দিয়ে তুমি বেহেশতে প্রবেশ কর। [মিশকাত]

Saturday, August 27, 2016

ইস্তিনজার সময় ঢিলা কলুখ ব্যবহার করা ওয়াজিব

কিছু কিছু ভ্রান্তবাদীরা ভিত্তিহীন অনেক ফতোওয়া দিয়ে থাকেন তন্মধ্যে একটি হলো, 
"পেশাব-পায়খানায় ডিলা-কুলুখ এর ব্যবহার এর কোন ভিত্তি নেই"।
এই ভ্রান্ত উক্তির জবাবে নিচের হাদিস গুলো সহীহ বোখারী থেকে উপস্থাপন করলাম।

মহিলাদের মসজিদে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে কিছু হাদিস ! জেনে নিন মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ আছে কি?

হাদিস নং :-

عن حضرت ام حميد امرأة ابى حميد الساعدى انها جاءت النبى صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى احب الصلوة معك، قال علمت انك تحبين الصلاة معى، وصلاتك فى بيتك خيرلك من صلاتك فى حجرتك وصلاتك فى حجرتك خير من صلاتك فى دارك وصلاتك فى دارك خيرلك من صلاتك فى مسجد قومك وصلاتك فى مسجد قومك خيرلك من صلاتك فى مسجدى، قال فأمرت فبنى لها مسجد، فى اقصى شىء من بيتها واظلم فكانت تصلى فيه حتى لقيت الله عزوجل

অর্থ : হযরত উম্মে হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি একবার হুযূর পাক صلى الله عليه و آله وسلم এর খিদমতে হাজির হয়ে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم ! আপনার সাথে নামায পড়ার আমার খুবই ইচ্ছে হয় |

হুযূর পাক صلى الله عليه و آله وسلم ইরশাদ করলেন, আমি জানি, আপনি আমার সাথে নামায পড়তে ভালোবাসেন | কিন্তু মনে রাখবেন, বদ্ধ ঘরে আপনার নামায পড়া খোলা ঘরে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম | আর খোলা ঘরের নামায বারান্দার নামাযের চেয়ে উত্তম। আর বারান্দার নামায মহল্লার মসজিদের নামাযের চেয়ে উত্তম | আর মহল্লার মসজিদের নামায আমার মসজিদের (মসজিদে নববী শরীফ) নামাযের চেয়ে উত্তম | এই ইরশাদ শ্রবণের পর হযরত উম্মে হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি স্বীয় ঘরের সবচেয়ে নির্জন কোণে বিশেষভাবে নামাযের জায়গা তৈরি করেন এবং ইনতিকাল পর্যন্ত সেখানেই নামায পড়তে থাকেন | সুবহানাল্লাহ!

দলীল- মুসনাদে আহমদ শরীফ, ছহীহ ইবনে খুযাইমা শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, সূত্র: আত তারগীব- /১৩৫