তাবলিগ
জামাত একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক সংগঠন যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা। সাধারণত মানুষকে আখিরাত, ঈমান, আমল-এর কথা বলে তিনদিনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর পর যথাক্রমে সাতদিন ও চল্লিশদিন-এর জন্য আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত-এর কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে। তাবলিগ জামাত-এর মুল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় ৬টি উসুল বা মূলনীতিকে। এগুলো হলো: কালিমা, নামায,
ঈল্ম ও যিকির, একরামুল মুসলিমিন বা মুসলমানদের সহায়তা করা, সহিহ নিয়ত
বা বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা, এবং তাবলিগ বা ইসলামের দাওয়াত।
উৎপত্তি
![]() |
তাবলীগ_জামাতের_প্রতিষ্ঠাতা_মাওলানা_ইলিয়াস_(রঃ) |
তাবলিগ
জামাত বিশ্বাস করেন, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেয়ার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর শেষ বাণীবাহক, তাঁর পরে আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, তাই মুহাম্মদ(সাঃ) বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে মুসলমানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্বটি দিয়ে যান। তবে এবিষয়ে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনেও উল্লেখ আছে:
তোমরাই
শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)
ইসলামের
প্রাথমিক যুগে মুহাম্মদ(সাঃ)এর মৃত্যুর পর তাঁর আদর্শস্নাত সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের মাধ্যমে ইসলামী জীবন বিধান প্রচার ও প্রসারের কার্যক্রম আরো বিস্তৃতি লাভ করে। কিন্তু মুসলিম শাসকদের ক্ষমতা বিলপ্তির পর ইসলামী প্রচার কার্যক্রমে ভাটা পড়তে থাকে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মুসলিম মনীষীদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত ছিল। এমনই পরিস্থিতিতে মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস ভারতের দিল্লীতে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন এবং তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তাবলিগ জামাত একটি বহুল প্রচারিত আন্দোলনে রূপ নেয়। সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া তাবলিগ জামাতের অন্যতম উদ্দেশ্য।
This Artical Collect From: https://bn.wikipedia.org/wiki/
This Artical Collect From: https://bn.wikipedia.org/wiki/
No comments:
Post a Comment