Friday, July 22, 2016

মুন্তাখাব হাদিস - কালেমায়ে তাইইয়্যেবা - ঈমান সম্পরকিত হাদিস- ১ হতে ৫

১. হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আনহু (أبىْ هريْرة رضى الله عنْه) হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা রহিয়াছে। তন্মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হইল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লহবলা এবং সর্বনিম্ন শাখা হইল, রাস্তা হইতে কষ্টদায়ক জিনিস সরাইয়া দেওয়া এবং লজ্জা ঈমানের একটি (বিশেষ) শাখা। (মুসলিম)

২. হযরত আবু বকর রদিয়াল্লহু আনহু (أبىْ بكْر رضى الله عنْه) হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি সেই কালিমাকে কবুল করিবে যাহা আমি আমার চাচা (আবু তালেবে)র নিকট (তাহার মৃত্যুর সময়) পেশ করিয়ছিলাম এবং তিনি তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়ছিলেন, সেই কালেমা এই ব্যক্তির জন্য (মুক্তির) উপায় হইবে। (আহমাদ)

৩. হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আনহু (أبىْ هريْرة رضى الله عنْه) হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আপন ঈমানকে তাজা করিতে থাক। কেহ আরজ করিল, ইয়া রসুলুল্লহ! আমরা আপন ঈমান কিভাবে তাজা করিব? তিনি বলিলেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লহ বেশি বেশি বলিতে থাক। (মুসনাদে আহমদ, তাবারানী, তারগীব)

৪. হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লহ রদিয়াল্লহু আনহুমা (جابر بْن عبْد الله رضى الله عنْهما) বলেন, আমি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে, সমস্ত যিকিরের মধ্যে সর্বোত্তম যিকির হইল লা-ইলাহা ইল্লাল্লহএবং সব দোয়ার মধ্যে সর্বোত্তম দোয়া হইল আলহামদুলিল্লাহ। (তিরমিযী)

ফায়দাঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লহসর্বোত্তম যিকির এইজন্য যে, পুরা দ্বীন (ইসলাম) ইহার উপরই নির্ভরশীল। ইহা ছাড়া ঈমান ঠিক হয় না আর কেহ মুসলমান হইতে পারে না।

আলহামদুলিল্লাহকে সর্বোত্তোম দোয়া এইজন্য বলা হইয়াছে যে, দাতার প্রশংসা করার উদ্দেশ্যই হইল চাওয়া ও সওয়াল করা, আর দোয়া হইল আল্লহ তায়ালার নিকটে চাওয়ার নাম। (মোযাহেরে হক)

৫. হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আনহু (أبىْ هريْرة رضى الله عنْه) হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, (যখন) কোন বান্দা অন্তরের এখলাসের সহিত, লা ইলাহা ইল্লাল্লহ বলে, তখন এই কালেমার জন্য নিশ্চিতরূপে আসমানের দরজাসমূহ খুলিয়া দেওয়া হয়। এমনকি এই কালেমা সোজা আরশ পর্যন্ত পৌঁছিয়া যায়। অর্থাৎ সাথে সাথেই কবুল হইয়া যায়। তবে শর্ত হইল, যদি এই কালেমা পাঠকারী কবীরা গুনাহ হইতে বাঁচিয়া থাকে। (তিরমিযী)


ফায়দাঃ এখলাসের সহিত বলার অর্থ এই যে, উহার মধ্যে লোক দেখানো এবং মুনাফেকী না থাকে। কবীরা গুনাহ হইতে বাঁচিয়া থাকার শর্ত লাগানো হইয়াছে। আর যদি তাড়াতাড়ি কবুল হওয়ার জন্য করীবা গুনাহের সহিতও পাঠ করা হয় তবুও লাভ সওয়াব হইতে খালি হইবে না।(মিরকাত)

No comments:

Post a Comment