Sunday, August 14, 2016

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম জেনে নিন?

বিভিন্ন কারণে গোসল ফরজ হয়। আর ফরজ গোসল ইসলামি জীব বিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ হলো কারো ওপর গোসল ফরজ হলে সঠিক-শুদ্ধ পদ্ধতিতে গোসল আদঅয না করা পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি নাপাক থাকবেন। আর এই নাপাকি অবস্থায় তার কোনো প্রকারের কোনো ইবাদত-বন্দেগি করার অনুমতি নেই। সুতরাং সঠিক-শুদ্ধভাবে আমল করার জন্য শারীরীকভাবে পবিত্র থাকার উদ্দেশ্য গোসল ফরজ হওয়ার কারণ, ফরজ গোসলের ফরজ, সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমরসহ ফরজ গোসল করার পদ্ধতি সবার জানা থাকা একান্ত জরুরি। গোসল ফরজ হওয়ার কারণসমূহ হলো-
যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ

১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. নারী-পুরুষ মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহন করলে(নব-মুসলিম হলে)।


ফরজ গোসলের ফরজ সমূহ হলো-

গোসলের ফরজ মোট তিনটি। এই তিনটির কোনো একটি বাদ পড়লে ফরজ গোসল (obligatory bath) আদায় হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় এই তিনটি কাজ খুব সর্তকতার সাথে আদায় করতেই হবে।

১. গড়গড়ার (হ্বলকের শেষ অংশ পর্যন্ত) সাথে কুলি করা (তবে রোজা রাখা অবস্থায় সাধারণ কুলি করতে হবে) ।

২. নাকে পানি দেওয়া (নাকের নরম অংশ আঙ্গুল দারা ভিজানো)।

৩. এরপর সারা দেহে পানি ঢালা ও ভালোভাবে গোসল করা (নাভীর ভেতর আঙ্গুল দিয়ে ভেজানো, আর নারীরা গুপ্তাঙ্গ সুন্দরভাবে ধৌত করা)।


ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ

১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে। বাড়তি মুখে কোন আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়্যাত করা বিদআত।

২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।

৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।

৪. এবার বামহাতকে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে, তবে দুই পা ধুয়া যাবে না।

৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।

৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।

৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ওজুর মতো করে ধুতে হবে।


অবশ্যই মনে রাখতে হবেঃ

১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।

২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।


(আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে কুরআন ও সহিহ্ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দিক এবং পূর্বের না জেনে করা ভুল ক্ষমা করুক। আমিন।)। 

No comments:

Post a Comment