বছরে
মাত্র দুবার ঈদের নামাজ। তাই এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতা ও দিদাহ-সংশয়ে পড়তে হয়।
এখানে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম দেয়া হলো।
নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি নয়। যে কোনো ভাষাতেই নামাজের
নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে
মনে মনে এই নিয়ত করতে হবে- ‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের
দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’
এরপর
উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে নিবে।
হাত
বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা’ শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবে।
এরপর
আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত ওঠিয়ে ছেড়ে দেবে। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির
বলে হাত ছেড়ে দেতে হবে। ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ
পড়ে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোনো সুরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদি নীরবে দাঁড়িয়ে
থাকবেন। এরপর ইমাম সাহেব নিয়মমত রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা
ইমাম সাহেবের অনুসরণ করবেন।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সুরা
পড়বেন। এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত
ওঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না ওঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য
নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।
ঈদের নামাজ শেষে ইমাম সাহেব খুতবা
পাঠ করবেন। জুমার খুতবার মতো এই খুতবা শোনা মুসল্লিদের জন্য ওয়াজিব।
খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে
হারাম। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায়
একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই।
No comments:
Post a Comment