সালাতের ফরজ ১৩ টি। যথাঃ
[ একটি ফরজ ছুটে গেলে নামাজ হবে না, সুতারং নামাজের ফরজ সমূহ জানা জরুরী ]
১. ইহরামের তাকবীর বলা,
২. সূরা ফাতিহা পড়া,
৩. রুকুতে যাওয়া,
৫. সপ্তাঙ্গের উপর
ভর করে
সিজদা করা,
৬. সিজদা থেকে
উঠা,
৭. উভয় সিজদার
মধ্যে বসা,
৮. সালাতের সকল কর্ম সম্পাদনে স্থিরতা অবলম্বন করা,
৯. সকল রুকন ধারাবাহিকভাবে তরতীবের সাথে সম্পাদন করা,
১০. শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পড়া,
১১. তাশাহহুদ পড়ার জন্য শেষ বারে বসা,
১২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া এবং
১৩. ডানে-বামে দুই সালাম প্রদান করা।
নামাজের ওয়াজিবসমূহ।
এগুলোর সংখ্যা হলো মোট ৮টি। যথাঃ
২. ইমাম ও একা নামাজীর পক্ষে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্’ বলা,
৩. সকলের পক্ষে ‘রববানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলা,
৪. রুকুতে ‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আজীম’ বলা,
৫. সিজদায় ‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’ বলা,
৬. উভয় সিজদার মধ্যে ‘রাব্বিগফিরলী’ বলা,
৭. প্রথম তাশাহ্হুদ পড়া
৮. দ্বিতীয় রাকা‘আতে প্রথম তাশাহ্হুদ পড়ার জন্য বসা।
নামাযের সুন্নত সমূহ।
এগুলোর সংখ্যা হলো মোট ২০ টি। যথাঃ
১) তাকবীর বলে দুই হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠান ।
২) হাতের আঙ্গুল পরস্পর পৃথক রাখা ।
৩) ইমামের জন্য নামায আরম্ভের তাকবীর উচ্চঃস্বরে পড়া ।
৪) ছানা পাঠ করা ।
৫) “আউযুবিল্লাহ্” পাঠ করা ।
৬) “বিছমিল্লাহ্” পাঠ করা ।
৭) সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ঈমাম ও মুস্তাদিগণের মৃদুস্বরে “আমীন” বলা ।
৮) পুরুষের জন্য নাভীর নীচে তাহরিমা বাঁধা আর স্ত্রী লোকের জন্য ছিনার উপরে তাহরিমা বাঁধা
৯) রুকুর তাকবীর বলা ।
১০) রুকুতে দুই হাঁটু ধরা ও আঙ্গুল সমুহ পরস্পর পৃথক রাখা ।
১১) রুকুর ভিতরে তিন, পাঁচ বা সাতবার তাছবীহ্ বলা ।
১২) রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ান ।
১৩) রুকু হতে উঠার সময়ে ইমামের “ছামিয়াল্লাহ হুলিমান হামীদা” ও মোক্তাদিগণের “রাব্বানা লাকাল হামদ” বলা ।
১৪) ছেজদায় গিয়ে দুই হাঁটু ও তাকবীর বলে বসা ।
১৫) ছেজদায় তাছবীহ্ পড়া ।
১৬) পুরুষের জন্য ছেজদাহ হতে উঠে ডান পা খাড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা, আর স্ত্রীলোকের উভয় পা ডান দিকে বাহির করে ছতরের উপর বসা ।
১৭) ছেজদা থেকে উঠার পর এক তছবীহ্ পরিমাণ সময় বসে থাকা ।
১৮) দরুদ শরীফ পাঠ করা ।
১৯) দোয়ায়ে মাছুরা পড়া ।
২০) দুই দিকে ছালাম ফিরান ।
নামাযের মোস্তাহাব সমূহ। যথাঃ
২. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়ে আন্তিন হতে হাতের তালু বাহির করা ।
৩.
দাঁড়াবার সময়ে সিজদার জায়গার প্রতি দৃষ্টি রাখা ।
৪. রুকুতে পায়ের পাতার দিকে দৃষ্টি রাখা ।৫. বৈঠকে কোলের দিকে দৃষ্টি রাখা ।
৬. সাধ্যানুযায়ী হাসি ও কাশি বন্ধ রাখা ।
৭. রুকুতে মাথা ও পৃষ্ঠ ভাগ সমান উঁচু রাখা ।
৮. সিজদায় প্রথমে দুই হাঁটু ,তারপর দুই হাত জমিনে রাখা, পরে নাক ও তারপরে কপাল জমিনে রাখা এবং সেজদা হতে উঠার সময়ে যথাক্রমে প্রথমে কপাল, পরে নাক উঠিয়ে তৎপর দুই হাত হাঁটুর উপরে রেখে বসা ।
৯. সিজদায় দুই হাতের মধ্যে মাথা রাখা, নাক দুই বৃদ্ধাংগুলির মধ্যে বরাবর রাখা ।
১০.হাত-পায়ের আঙ্গুলিসমূহ কেবলা মুখ করে রাখা ।
১১.ছালাম ফিরানোর সময় দুই সিনার প্রতি দৃষ্টি রাখা ।
১২.সেজদায় পুরুষের দুই হাত পৃথক ভাবে রাখা এইভাবে উঁচুতে রাখতে হবে যেন বকরীর বাচ্চা যাতায়াত করতে পারে । কিন্তু স্ত্রীলোকের জন্য সেজদায় এর বিপরীত করতে হবে । যেমন দুই হাত চাপিয়ে রাখা এবং রানের উপর পেট রাখা ।
১৩.
তিন বারের অধিক-বেজোড় তছবীহ্ পড়া ।
১৪. ফযরের নামাযে (سورة الحجراة – سورة البلد ) এর মধ্যে যে কোন ২টি সুরা পড়া।
১৫. আছরের নামাজে ( سورة الشمس – سورة البينة) এর মধ্যে যে কোন ২টি সুরা পড়া ।
১৬.মাগরিবের নামাজে ছোট ছোট সূরাহ (سورة الزلزال – سورة الناس) পাঠ করা ।
১৭. এশার নামাজে (سورة الحجراة – سورة البلد ) এর মধ্যে যে কোন ২টি সুরা পাঠ করা ।
নামাযের মাকরূহ সমূহ যথাঃ
১)চাদর বা জামা না পড়ে কাঁধে ঝুলিয়া রাখা ।
২) ময়লা ধুলা-বালি লাগার ভয়ে কাপড়/জামা গুটানো ।
৩) আঙ্গুল মটকান ।
৪) বস্ত্র,শরীর অথবা দাঁড়ির সাথে খেলা করা ।
৫) এদিক ওদিক দেখা ।
৬) চুল মাথার উপরিভাগে বাঁধা ।
৭) বিনা ওজরে সেজদার স্থানের ইট-পাথর সরান ।
৮) আলস্যভরে শরীর মোড়ামুড়ি করা ।
৯) সিজদার সময়ে হাত বিছিয়ে দেওয়া ।
১০) আগের কাতারে স্থান থাকতে পিছনের কাতারে দাঁড়ানো ।
১১) অবহেলা করে খালি মাথায় নামায পড়া ।
১২) আকাশের দিকে তাকান ।
১৩) ভাল কাপড় থাকা সত্ত্বেও মন্দ কাপর পড়ে নামায পড়া ।
১৪) নামাযের মধ্যে কপালের মাটি মুছে ফেলা ।
১৫) কোন প্রাণীর ছবি সম্মুখে,ডাইনে,বামে,মস্তকের উপর বা কাপড়ের মধ্যে থাকা ।
১৬) সিজদার সময়ে বিনা কারণে হাটুর পূর্বে হাত মাটিতে রাখা ।
১৭) বিনা কারণে আসন পেতে বসা ।
১৮) ফরয নামাযে এক সূরা বার বার পড়া ।
১৯) কোন মানুষের মুখের দিক হয়ে নামায পড়া ।
২০) সিজদাতে পিঠ উভয় উরুর সহিত মিলিয়ে দেওয়া ।
২১) এক হাত বা তদুর্ধ স্থানে ইমামের দাঁড়ান ।
২২) উভয় সিজদার মধ্যে অথবা তাশাহুদ পড়ার সময়ে কুকুরের ন্যায় বসা ।
২৩) দুই হাতে মাটি ভর দিয়া উঠা ।
২৪) কোন সুন্নত পরিত্যাগ করা ।
২৫) নাক মুখ ঢেকে নামাজ পড়া
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোষ্ট টা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এ আপনার মতামত জানাবেন যদি ভুল হয়েও থাকে তাহলে সঠিক দলিল সহকারে ভুল গুল কমেন্টে তুলে ধরবেন আর আপনার বন্ধুবান্দবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন্না, আসসালামু আলাইকুম, ফি আমানিল্লাহ !!!
No comments:
Post a Comment