Tuesday, August 30, 2016

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

বছরে মাত্র দুবার ঈদের নামাজ। তাই এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতা ও দিদাহ-সংশয়ে পড়তে হয়। এখানে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম দেয়া হলো।

নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি নয়। যে কোনো ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী দাঁড়িয়ে মনে মনে এই নিয়ত করতে হবে- ‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’

Saturday, August 27, 2016

ইস্তিনজার সময় ঢিলা কলুখ ব্যবহার করা ওয়াজিব

কিছু কিছু ভ্রান্তবাদীরা ভিত্তিহীন অনেক ফতোওয়া দিয়ে থাকেন তন্মধ্যে একটি হলো, 
"পেশাব-পায়খানায় ডিলা-কুলুখ এর ব্যবহার এর কোন ভিত্তি নেই"।
এই ভ্রান্ত উক্তির জবাবে নিচের হাদিস গুলো সহীহ বোখারী থেকে উপস্থাপন করলাম।

মহিলাদের মসজিদে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে কিছু হাদিস ! জেনে নিন মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ আছে কি?

হাদিস নং :-

عن حضرت ام حميد امرأة ابى حميد الساعدى انها جاءت النبى صلى الله عليه وسلم فقالت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى احب الصلوة معك، قال علمت انك تحبين الصلاة معى، وصلاتك فى بيتك خيرلك من صلاتك فى حجرتك وصلاتك فى حجرتك خير من صلاتك فى دارك وصلاتك فى دارك خيرلك من صلاتك فى مسجد قومك وصلاتك فى مسجد قومك خيرلك من صلاتك فى مسجدى، قال فأمرت فبنى لها مسجد، فى اقصى شىء من بيتها واظلم فكانت تصلى فيه حتى لقيت الله عزوجل

অর্থ : হযরত উম্মে হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি একবার হুযূর পাক صلى الله عليه و آله وسلم এর খিদমতে হাজির হয়ে আরয করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم ! আপনার সাথে নামায পড়ার আমার খুবই ইচ্ছে হয় |

হুযূর পাক صلى الله عليه و آله وسلم ইরশাদ করলেন, আমি জানি, আপনি আমার সাথে নামায পড়তে ভালোবাসেন | কিন্তু মনে রাখবেন, বদ্ধ ঘরে আপনার নামায পড়া খোলা ঘরে নামায পড়ার চেয়ে উত্তম | আর খোলা ঘরের নামায বারান্দার নামাযের চেয়ে উত্তম। আর বারান্দার নামায মহল্লার মসজিদের নামাযের চেয়ে উত্তম | আর মহল্লার মসজিদের নামায আমার মসজিদের (মসজিদে নববী শরীফ) নামাযের চেয়ে উত্তম | এই ইরশাদ শ্রবণের পর হযরত উম্মে হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি স্বীয় ঘরের সবচেয়ে নির্জন কোণে বিশেষভাবে নামাযের জায়গা তৈরি করেন এবং ইনতিকাল পর্যন্ত সেখানেই নামায পড়তে থাকেন | সুবহানাল্লাহ!

দলীল- মুসনাদে আহমদ শরীফ, ছহীহ ইবনে খুযাইমা শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, সূত্র: আত তারগীব- /১৩৫

Tuesday, August 23, 2016

নারী, পুরুষের নামাজে পার্থক্য আছে কি?

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ একটি ধর্ম। ইসলামের সব বিষয়ে নির্দিষ্ট হুকুম রয়েছে। অন্য বিষয়গুলোর মতো পুরুষ-নারীর নামাজের পদ্ধতিগত পার্থক্যের বিষয়টিও এর ব্যত্যয় নয়। নবীজি [সা.]-এর জামানা থেকে সবাই এ পার্থক্য মেনে তদনুযায়ী নামাজ আদায় করতেন। বরং ঐকমত্যে পার্থক্যের বিপরীতে নতুন পদ্ধতি সামনে এলে তা নিঃসংকোচে মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন, যাতে মানুষ ধোঁকায় না পড়ে। মূলকথা হলো, পুরুষ-নারীর মাঝে মৌলিক যে তিনটি পার্থক্য করা হয় তার মধ্যে অন্যতম অবস্থান ও কর্মস্থলের পার্থক্য। পুরুষের কর্মস্থল বাইরে আর নারী গোপনীয় জিনিস।

আর এই মৌলিক পার্থক্যের কারণে মূলত নারীর নামাজ পুরুষ থেকে ভিন্ন রাখা হয়েছে। নবীজি [সা.]-এর জামানা থেকে সাহাবা, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনগণ বিষয়টি খুব সহজভাবে উপলব্ধি করেছেন এবং নবীজি [সা.] কর্তৃকও নির্দেশিত নারীদের নামাজের পার্থক্য অকপটে মেনে নিয়েছেন। এমনকি ইমাম চতুষ্টয় এই পার্থক্যের ব্যাপারে একমত। বাইহাকী [রহ.] বিষয়টি সুনানে কুবরায় এভাবে ব্যক্ত করেছেন যে নামাজের বিভিন্ন বিধানের ক্ষেত্রে পুরুষ-নারীর নামাজে পদ্ধতিগত ভিন্নতার প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো 'সতর', অর্থাৎ নারীর জন্য শরিয়তের হুকুম হলো ওই পদ্ধতি অবলম্বন করা, যা তাকে সর্বাধিক পর্দা দান করে। [সুনানে কুবরা]

Saturday, August 20, 2016

খানা খাওয়ার দো'য়া

>> খানা সামনে আসলে এই দোয়া পড়তে হয়-

اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْما رَزَقْتَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফিমা রাজাকতানা ওয়া কিনা আ‘জাবান নার।

>> খানা খাওয়ার শুরুতে এই দোয়া পড়তে হয়-

بِسْمِ اللّهِ وَ عَلى بَرَكَةِ اللهِ 

উচ্চারণঃ- বিস্মিল্লাহি ও‘আলা বারাকাতিল্লাহ

>> খানা খাওয়ার শুরুতে দোয়া পড়তে ভুরে গেলে খানার মাঝে স্মরণ আসার পর এই দোয়া পড়তে হয়-

بِسْمِ اللهِ أَوَّلَه وَآخِرَه 

উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আউয়্যালাহু ওয়া আখীরাহ।

পানি পান করার সকল দো'য়া

## পানি পান করার শুরুতে এই দোয়া পড়তে হয়-

بِسْمِ اللّه الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ

উচ্চারণঃ- বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

## পান করা শেষ হলে এই দোয়া পড়তে হয়-

اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ جَعَلَه عَذْبًا فُرَاطًا بِرَحْمَتِه وَ لَمْ يَجْعَلْه مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوبِنَا

উচ্চারণঃ- আল্হামদুলিল্লাহীল্লাজী জা‘আলাহু আ‘জবান ফুরাতান ওয়া লাম ইয়াজআ‘ললাহু মিলহান উজাজান।

## চা, কফি, ঠান্ডা ইত্যাদি পানীয় পান করার সময় পড়তে হয়-

اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْه وزِدْنَا مِنْه

উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফীহী ওয়াজিদনা মিনহু।

## যমযমের পানি কিবলামূখী হয়ে পান করার সময় এই দোয়া পড়তে হয়-

اَللهُمِّ اِنّيْ اَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا وَاسِعًا وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ


উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘সআলুকা ই‘লমান নাফি‘আ ওয়া রিজকান ওয়াছি‘আ ওয়া সিফাআম মিন কুল্লি দায়ীন।

ঘুমানোর সময়, স্বপ্ন দেখা ও ঘুম থেকে উঠার দো'য়া

ঘুমানোর সময় এই দোয়া পড়তে হয়-

اَللّهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوْتُ وَاَحْيَا

উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া।

ঘুম থেকে উঠে এই দোয়া পড়তে হয়-

اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ اَحْيَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا وَ اِلَيْه النُّشُوْرِ

উচ্চারণঃ- আলহামদুলিল্লাহিল্লজী আহইয়ানা বাদা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহীন নুশুর।

দুঃস্বপ্ন দেখলে এই দোয়া পড়বে-

দুঃস্বপ্ন দেখলে তিনবার ‘আউযুবিলস্নাহি মিনাশ শাইত্বানীর রাজীম’ পড়ে বাম দিকে থুথু ফেলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শুয়ে নিম্নের দুয়াটি পড়বে।

اَللهُمَّ اِنّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هذِه الرُّؤْيَا

উচ্চারণঃ আলস্নাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন শাররী হাজিহীর রুঈয়া।

দুঃস্বপ্ন দেখিয়া ভীত হইলে, নিদ্রা না আসিলে অথবা হঠাৎ নিদ্রা ভঙ্গ হইয়া গেলে এই দোয়া পড়িবে-

اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَ عِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَاَنْ يَحْضُرُوْنِ .


উচ্চারণঃ আউযু বি কালীমাতিলস্নাহিত তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ইকাবিহী ও র্শারী ইবাদিহী ওয়া মিন হামাযাতিশ্ শায়াতিনি ওয়া আয়ই ইয়াহজুরম্নন।

মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার দো'য়া

মসজিদে প্রবেশ কালে দু‘আ পড়া-

اَللهُمَّ افْتَحْ لِيْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ 

উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিক।

মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া পড়া-

اَللهُمَّ أِنِّيْ اَسْاَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ 


উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা ইন্নী আসয়ালুকা মিন ফাদলিক।

হাঁচি ও হাই তোলার দো'য়া

হাঁচি দিলে বলতে হয়-

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ 
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহ।

অথবা ইহা বলিবেঃ
اَلْحَمْدُلِلَّهِ عَليَ كُلِّ حَالٍ  
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল।

অথবা ইহা বলিবেঃ  
اَلْحَمْدُلِلَّهِ حَمْدًا كَثِيْراًطيِّبًا مْبَارَكًا فِيْهِ مْبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَاوَيَرْضَىَ
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহে হামদান কাছীরান তৈয়্যেবান মুবারাকান ফীহে মুবারাকান আলাইহে কামা ইউহিব্বু রাব্বুনা ওয়া ইয়ারদা।

কেহ হাঁচি দিলে (যদি সেاَلْحَمْدُلِلَّهِ বলে ) তার উত্তরে বলবে-
يَرْحَمُكَ اللهُ  
উচ্চারণঃ ইয়ার হামুকাল্লাহ।

হাঁচি দাতা উত্তর দাতার يَرْحَمُكَ اللهُ শুনে উত্তরে বলবে-
يَهْدِيْكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحْ بَالَكُمْ  
উচ্চারণ- ইয়াহদি কুমুল্লাহু ওয়া ইউস্লিহ বালাকুম।

হাই আসিলে এই দু’আ পড়বে-
لاَحَوْلَ وَلاَقُوَّةَ اِلاّبِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ

উচ্চারণঃ- লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়্যাতা ইল্লা-বিল্লা-হিল্ আলিয়্যিল্ আযীম।

Friday, August 19, 2016

কাপড় পরার দো'য়া

কোন কাপড় পরিধান করার সময় ‘বিসমিলস্নাহ’ এর পর এই দোয়া পড়িবেঃ

اَللّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ خَيْرِه وَخَيْرِمَا هُوَ لَه وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّه وَشَرِّمَا هُوَ لَه.

উচ্চারণঃ আলস্নাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরীহি ওয়া খাইরি মা হুয়া লাহু ওয়া আউযুবিকা মিন শাররীহা ওয়া শাররীমা হুয়া লাহু।

কোন নতুন কাপড় পরিধান করলে তখন উক্ত কাপড়ের নাম যেমন পাগড়ি, জামা ইত্যাদি উলেস্নখ করিয়া এই দোয়া পড়িবেঃ

اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذَيْ كَسَانِيْ مَا اُوَارِيْ بَه عَوْرَتِيْ وَ اَتَجَمَّلُ بَه فِيْ حَيَاتِيْ.

উচ্চারণঃ আল হামদুলিলস্নাহিলস্নাযি কাসানী মা উয়ারী বিহি আওরাতী ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতী।

অথবা এই দোয়াটি পড়বেঃ

اَللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ, اَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ, اَسْئَلُكَ خَيْرَهُ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهُ, وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّمَا صُنِعَ لَهُ

উচ্চারণঃ আলস্নাহুম্মা লাকাল হামদু, আনতা কাসাওতানীহি, আসআলুকা খাইরাহু ওয়া খাইরা মা সুনিয়া লাহু, ওয়া আউযু বিকা মিন শাররীহি ওয়া শাররী মা সুনিয়া লাহু।

যখন কাপড় খুলিবে তখন ‘বিসমিলস্নাহ’ বলবে।


ফায়দাঃ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, জ্বিন (ও শয়তান) এবং মানুষের মধ্যে পর্দা হল- ‘বিসমিলস্নাহ’।

বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম?

  • বিতর নামাজের সাধারণ নিয়ম হচ্ছে আপনি সাধারণ নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ পড়বেন।
  • ২য় রাকাতে বৈঠকের পর তাশাহুদ পড়ে দাঁড়িয়ে যাবেন
  • তারপর সুরা ফাতেহা সুরা মিলিয়ে রুকুতে না যেয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত উঠাবেন 
  • পুনরায় হাত বেঁধে দুয়া কুনুত পড়বেন
  • দুয়া কুনুত পড়া শেষ হলে অন্যান্য নামাজের মতোই রুকুতে যেয়ে বৈঠক পূর্ণ করবেন


দু'আয়ে কুনুতঃ

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ ، ونؤمن بك ونتوكل عليك، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ ، ونشكرك وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ الْجِدَّ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ.

আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগ্রিুকা, ওয়া নুমিন বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালুআলাইকা,
ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁয়্যাফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক


দোয়ায়ে কুনুতের অর্থঃ আয় আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। (যদিও) তোমার আযাবতো শুধুমাত্র কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত। ”(তথাপি আমরা সেই আযাবের ভয়ে কম্পমান থাকি।)